শিরোনাম |
বাড়ছে মশা, বাড়ছে ডেঙ্গু
জানা যায়, গত ৩০ মার্চ চসিক নগরীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মশকনিধন কর্মসূচি উদ্বোধন করে। কিন্তু এসব ছিল আনুষ্ঠানিকতা নির্ভর। এর আগেও চসিক ঢাকঢোল পিটিয়ে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করলেও এর দৃশ্যমান কার্যকারিতা দেখা যায়নি। তাছাড়া চসিক মশা নিয়ন্ত্রণে বিজ্ঞানভিত্তিক উপায় সন্ধানে গত এপ্রিল মাস থেকে একটি গবেষণাগার চালুর ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এর মধ্যে কেবল ল্যাবের জন্য একটি কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়। আবার বিভিন্ন সময় ওয়ার্ডে দেখা দেয় ওষুধ সংকট। ফলে মশকনিধন কার্যক্রমও তখন থমকে থাকে। তবে চসিক গতকাল থেকে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে। প্রতিদিন দুটি ওয়ার্ডে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চলবে। ডেঙ্গুর প্রকোপ না কমা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালানো হবে। চসিক অ্যাডাল্টিসাইড, লার্ভিসাইড, এলডিইউ (কালো তেল) ও ভেষজ মসকুবার ছিটিয়ে দিয়ে মশক নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে, নগরের ২৩টি এলাকাকে চিহ্নিত করে লাল, হলুদ, নীল ও সবুজ রঙে চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে কোতোয়ালি, বাকলিয়া, বায়েজিদ, বন্দর, পাহাড়তলী, খুলশী ও চকবাজার এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ, পাঁচটি এলাকাকে হলুদ, সাতটি এলাকাকে নীল এবং চারটি এলাকাকে সবুজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বাকলিয়ার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, রাতে তো বটেই, দিনের বেলায়ও মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে যাই। চসিকের ম্যালেরিয়া ও মশক নিধন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি বলেন, গতকাল থেকে নতুন করে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ না কমা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। বর্তমানে চসিকের কাছে আগামী আড়াই মাসের মশক নিধনের ওষুধ মজুত আছে।
তাছাড়া বর্তমানে ফগার মেশিন আছে ১৮৫টি, স্প্রে মেশিন আছে ২০৫টি এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে দৈনিক পাঁচজন করে ওষুধ ছিটানোর কাজে নিয়োজিত আছে। তাছাড়া, নতুন করে আরও মেশিন কেনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার এক দিনে আক্রান্ত হয় ৪৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৩ জন, মহিলা ১২ জন ও শিশু ১৪ জন। চট্টগ্রামে চলতি বছরে মোট আক্রান্ত হন ৩ হাজার ৩৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৮১৮ জন, মহিলা ৯২৩ জন ও শিশু ৬১২ জন। চলতি বছর মারা যান ৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১ জন, মহিলা ১৭ জন ও শিশু চারজন।
0 Comments