‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগ শুরু হয়েছে’

       ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগ শুরু হয়েছে

        
এ আই রোবট



___________________________________________________________________________________

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) যুগ শুরু হয়েছেÑএই ঘোষণা দিয়ে এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়াং বলেছেন, এআই এমন একটি কম্পিউটিং বিপ্লবের সূচনা করেছে, যা প্রতিটি শিল্প ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলবে। খবর: রয়টার্স। গতকাল শনিবার হংকং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির স্নাতক সমাবর্তনে তিনি বলেন, এআই বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, যা ভবিষ্যতের দিক নির্ধারণ করবে। এটি এমন একটি নতুন যুগ, যা বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি ও শিল্পের পুনরাবিষ্কারের মূল ভিত্তি হয়ে উঠছে। হুয়াং জানান, বৈশ্বিক প্রযুক্তি সহযোগিতা ও সমন্বয় অব্যাহত থাকবে। যদিও নতুন মার্কিন প্রশাসন উন্নত কম্পিউটিং পণ্যের রপ্তানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে। তিনি বলেন, গণিত ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে খোলা গবেষণা এবং বৈশ্বিক সহযোগিতা বহুদিন ধরে সামাজিক ও বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির ভিত্তি। এটি অব্যাহত থাকবে। নতুন প্রশাসন কী সিদ্ধান্ত নেবে, তা জানা না থাকলেও আমরা আইন মেনে চলার পাশাপাশি প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক গ্রাহকদের সেবা দিয়ে যাব।

হুয়াং জানান, ২৫ বছর আগে এনভিডিয়া গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) উদ্ভাবন করেছিল। সেই প্রযুক্তি এখন এআইয়ের কেন্দ্রে রয়েছে। তিনি বলেন, এআই আমাদের সময়ের জটিল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে, যা একসময় অসম্ভব বলে মনে হতো, এখন তা সম্ভব হচ্ছে। স্নাতকদের উদ্দেশে এনভিডিয়া সিইও বলেন, বিশ্ব এখন একটি নতুন সূচনায়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই উদ্ভাবনের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। আপনারা এমন এক সময়ে ক্যারিয়ার শুরু করছেন, যখন এআই প্রযুক্তি বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখায় অগ্রগতির প্রয়োজনীয় হাতিয়ার দিচ্ছে।জেনসেন হুয়াংকে সম্মানসূচক প্রকৌশল ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একই মঞ্চে অভিনেতা টনি লিয়াং, রসায়নে নোবেলজয়ী প্রফেসর মাইকেল লেভিট এবং ফিল্ডস মেডেল বিজয়ী প্রফেসর ডেভিড মামফোর্ডকেও সম্মাননা দেয়া হয়। হুয়াং এআই’কে ‘সম্ভাবনার অপরিমেয় ক্ষেত্র’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তার মতে, এই প্রযুক্তি আমাদের এমন একটি পৃথিবীতে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে জটিল সমস্যাগুলো আরও দ্রুত সমাধান করা সম্ভব। এআই শুধু প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নয়, বরং মানবতার ভবিষ্যৎ।
অনলাইনে পড়ালেখা আফগান মেয়েদের

Post a Comment

0 Comments